রেশমের গুটি

সৃষ্টিহীন বেঁচে থাকা

আকাশ কুসুম ভাবা

কর্মহীন অলস দিন

এমনি কাটাব দিন

আর কত দিন?

 

চড়াচড়ে কত না ঘটনা ঘটে

কিছুই হানে না আঘাত

আমার স্মৃতির পটে

কথা দিয়ে শুধু

কথার মালা গাঁথি

স্মৃতিরাও যেন নয়কো

আমার সাথী।

 

শব্দরা তোলে না উদ্দাম ঝড়

আলোরা ফেলে না

আলোর স্ফটিক

আমি বদ্ধ নির্জিব এক প্রাণ

আমি যেন নষ্ট এক

রেশম পোকার গুটি

গুটিতেই জীবনাবসান।

সময়

হাত নেই পা নেই

মাথা ও নেই কোন

তবু ও গড়ায় সময় অবিরাম।

সময়ের ফুরসৎ নেই

তাকানোর ডান কিংবা বাম।

 

সময় গড়ায় কি আসলে?

নাকি আমাদের জীবন ফুরায়

আমাদের জীবন ফুরায় পলে পলে।

 

হিসাবের খাতায় অনেক অঙ্ক করি

কত ‍কিছু ধরি আর

কত কিছু ছাড়ি

তবু সময়ের পায়ে

দিতে নারি বেড়ি।

 

নিজের জীবন দিয়ে

অন্যের বিনাশ করি

নিজের সময় যেন

মূল্যহীন কানাকড়ি।

 

জীবন তুমি কি?

কিছু সময়ের যোগফল

অথবা বয়ে যাওয়া এক

নদীর ধ্বনি কলকল।

 

মহাসময়ের কল ধ্বনির কাছে

আমার জীবনের

আমার সময়ের

কি মূল্য আছে?

 

তবু জীবন বেয়ে যাওয়া

সময়ের নৌকায়

পাল তুলে হাওয়া।

 

তবু কর্ম পড়ে থাকা

কর্মীর নিখোঁজ হওয়া।

তবু সময় তোমাকে হয়

না চিরকালের তরে পাওয়া।

 

হায় সময়

তুমি অমূল্য রতন

সময় থাকতে তোমায়

করি না যতন।

কবি

কেউ বলে কবি

কেউ বলে কবি না

আমি যে কে ভাই

নিজে তা ভাবি না।

 

বেদনার কাব্য

আমি কিছু জানি না

কবিতার ছন্দ

তাও আমি মানি না।

 

হৃদয়ে জ্বালা আছে

আছে অনেক বেদনা

নেই কেউ আশেপাশে

দেবে কিছু সান্ত্বনা।

 

বেদনার রঙ নেই

আাঁকা যায় ছবিতে

বেদনার রঙে তাই

না লেখা যায় কবিতে।

 

মানুষ অনেক আছে

ঘুরঘুর করে পাশে

মানুষ তবু নেই

হাত ধরে থাকে পাশে।

 

 

মানুষ থাকে সব

মুখোশের আ-ড়ালে

যায় চেনা কে মানুষ

হাতটুকু বাড়ালে।

 

আগুন জানে শুধু

জ্বলনের জ্বালা কি

কিছু কথা লিখলেই

কবি হওয়া যায় কি?

জীবন ট্রেন

জীবন নামের ছোট্র ট্রেনে

লোভের বোঝা টেনে টেনে

ছুটছে পথিক উর্ধ্বশ্বাসে

ভাবছে না কেই একটুখানি

জীবন নামের গাড়ীখানি

থামবে কখন এক নিঃশ্বাসে।

 

জীবন নামের পলকা গাড়ী

তাই নিয়ে কি বাহাদুরী!

জীবন নামের সময় গাড়ী

তাই নিয়ে কি জুয়াচুরি!