দিশেহারা

দিশেহারা
-মোঃ বদিউজ্জামান
—————————————
কোথায় যে যাই? কার কাছে যে যাই?
কোথায় লুকাই? সর্বত্র ভয়
কি জানি কি হয়!
কে মারে জানে?
কে কি খাওয়ায় মারার টানে?
দয়ার শরীর, খাওয়ায় ভাত
মেরেই ঘটায় জীবনপাত
আকৃতি মানুষ
পশুরও হীন
হায়রে খোদা
এ কেমন দিন?
মানুষের বেশে শ্বাপদ যত
পায়ে পায়ে হাঁটে বিপদ যত
মানুষ খুঁজে ভগ্ন মনোরথ
কোথায় যে মানুষ? কোথায় যে পথ?
পথ খুঁজে হাঁটি
হেঁটে খুঁজি পথ
ভেবে ভেবে চলি
মনে মনে বলি
কখন যে কে থামায়,
জীবনের রথ?
মানুষের নেই মৃত্যুর গ্যারান্টি
এ কেমন স্বাধীন স্বদেশ?
সবই কী তবে
ভ্রান্তি-বিভ্রান্তি?
“সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই”
এ উপদেশ মুখে আওড়াই
কাজে ভুলে যাই।
ভুলের গদ্যে শুধু ছুটে চলা
নীতিবাক্য, মনুষ্যত্ব, সবই হেঁয়ালী
পায়ে পায়ে ঠেলা
এমনি করে চলবে কত খেলা?
জীবন কী তবে পথের ঢেলা?

হিউমার প্রকাশে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

হিউমার প্রকাশে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ
বক্তৃতা বা আলাপ আলোচনার সময় হিউমার প্রকাশে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাগ্মীরাও ছিলেন অনন্য। আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা পূর্বপুরুষদের অন্যতম বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন আনন্দদায়ক হিউমার প্রকাশের জন্য তাঁর সহকর্মী ও বন্ধুমহলে বিশেষভাবে সুপরিচিত ছিলেন। নিচের ঘটনাটি তাঁর হিউমার প্রকাশের একটি উজ্জ্বল ছবি তুলে ধরেঃ
১৭৮০ সালে আমেরিকার সংবিধান প্রণয়নের পূর্বে আমেরিকা ছিল ঋণে ঋণে জরাজীর্ণ। তাঁর শাসনামলে তিনি একদিন ড. বেঞ্জামিন রাশ (Dr. Benjamin Rush) এবং থমাস জেফারসন (Thomas Jefferson) এর সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডায় নানা প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁদের আলোচনা ঈশ্বরের পেশা কী ছিল সে বিষয়ে মোড় নেয়।
ড. রাশ পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। তাই তিনি প্রথমে বললেন, ঈশ্বরের পেশা ছিল তাঁর নিজের পেশা। “সর্বোপরি এটা ছিল একটি সার্জিকাল অপারেশন যা আদমের পাঁজর থেকে ঈভ (হাওয়ার) জন্ম দিয়েছে। ”
কিন্তু জেফারসনের ছিল ভিন্ন মত। যেহেতু তিনি মন্টিসেল্লো নির্মাণ করেছিলেন, তিনি বলেন, “না, এটা ছিল স্থাপত্যবিদ্যা। নিশ্চিতভাবে তিনি ছিলেন একজন স্থাপত্যবিদ যিনি বিশৃঙ্খলার মধ্য থেকে এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।”
এরপর ফ্রাংকলিনের পালা। তিনি গম্ভীরভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, “আপনারা দুজনই ভুল করছেন। ঈশ্বরের পেশা ছিল রাজনীতি। মোটের উপর, যাকে আপনারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কৃতিত্ব দিতে পারেন!”

জর্জ ওয়াশিংটন এর দেহভঙ্গি ও নেতৃত্ব

জর্জ ওয়াশিংটন এর দেহভঙ্গি ও নেতৃত্ব
জর্জ ওয়াশিংটন এর দেহভঙ্গি ও নেতৃত্ব প্রকাশের বহু ঘটনা ইতিহাসে স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে । তাঁর দেহভঙ্গির একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা যায়। আমেরিকার স্বাধীনতা লাভরে ১০ বছর পর ১৭৮৬ সালে তাঁর কিছু সামরিক অফিসার তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় বিদ্রোহ করতে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর দেহভঙ্গি ও নেতৃত্বের কারণেই তারা বিনা বাক্য ব্যয়ে সে ঘটনা ঘটানো থেকে নিবৃত হয়েছিলেন । ঘটনাটি ঘটেছিল ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৩০ মাইল দূরে একটি স্থানে যেখানে কন্টিনেন্টাল আর্মির অফিসাররা তাদের বকেয়া পাওনার দাবিতে সমবেত হয়েছিলেন । সমবেত অফিসাররা ফিলাডেলফিয়া গভর্ণমেন্টের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার হুমকিও দিয়েছিলেন । তাদের এ হুমকির কথা জর্জ ওয়াশিংটনের কানে এলে তিনি মাউন্ট ভেরনন নামক স্থান থেকে বিদ্রোহী অফিসারদেরকে মোকাবিলা করার জন্য সড়ক পথে রওনা হন। তিনি বিদ্রোহী আর্মি অফিসারদের জমায়েত স্থানে সাদা স্ট্যালিয়ন গাড়ি থেকে নামেন । আর্মি অফিসারদের সামনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ জেনারেল তাঁর পোশাকের ভেতর থেকে পূর্বেই প্রস্তুত করা একটি বক্তৃতা বের করেন । তারপর তিনি তাঁর পকেট থেকে কতকগুলো চশমা বের করেন এবং সেগুলোর মধ্য থেকে একটি চশমা চোখে পড়ে তিনি বলেছিলেন, ‘Gentlemen, I must apologize for my spectacles. My eyes have grown old in the service of my country.’
সমবেত আর্মি অফিসাররা ইতিপূর্বে তাঁকে কখনো চশমা পড়তে দেখেননি । তাঁর কথা শুনে অনেকেই কান্না করে ফেলেন । তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর সমবেত অফিসাররা ছত্রভঙ্গ হয়ে যার যার গন্তব্যে চলে যান । এভাবে জর্জ ওয়াশিংটনের দেহভঙ্গি ও নেতৃত্বের কাছে সরকার বিরোধী একটি ঘটনার অবসান ঘটেছিল ।
নেতৃত্ব এভাবেও কাজ করে!!!!!

মুখোশটাই বড় নয়

মুখোশটাই বড় নয়
-মোঃ বদিউজ্জামান
————————–
ঝড়ের আড়ালেও থাকে ঝড়
দৃশ্যের আড়ালেও থাকে দৃশ্য
মুখের আড়ালেও থাকে মুখোশ
দেখতে কি পাও সব?
শুনতে কি পাও সুরের মধ্যের সুর
বন্ধু তুমি কত দূর যাবে?
তুমি যাবে?
এই আমাকে ছেড়ে যাবে?
তুমি যাবে কতটা দূর?
মুখটাও মনে রেখো
মনে রেখো, মুখোশটাই বড় নয়।